​সাত খুন মামলা

কীভাবে তদন্ত করেছেন, আদালতকে জানালেন তদন্ত কর্মকর্তা

Looks like you've blocked notifications!
হেলমেট ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হয় নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেকে। ছবি : এনটিভি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল। আজ সোমবার সাক্ষ্য দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে জেরাও করা হয়। এ সময় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ২৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে মামলার কার্যক্রম চলে। পরে মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। আজ অসমাপ্ত থাকায় আগামী কার্যদিবসেও সাক্ষ্য দেবেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় করা দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল নিজের সাক্ষ্যে বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ২০১৪ সালের ৮ মে অপহরণ, হত্যা ও গুমের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর অপহরণ ও মৃতদেহ উদ্ধারের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেন তিনি। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি তানভীর আহমেদ, ইয়াদি শিপন, হাসেম, সোনামিয়া ও শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে আজ সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাবেক সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাব ১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, কমান্ডার এম এম রানা, মেজর আরিফ ও ল্যান্স নায়েক বেলালকে এবং নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা করেন।