ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় ভুয়া চিকিৎসককে জরিমানা
এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নন তিনি। পল্লী চিকিৎসকও নন। তবু তিনি নামের আগে ডাক্তার শব্দ লিখে নারী ও শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের সেই চিকিৎসক এবার ধরা খেলেন। চিকিৎসা সনদ না থাকার পরও চিকিৎসা পেশা চালানোর দায়ে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া এক শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার দায়ে আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে তৈয়বা খাতুন নামের ওই ভুয়া চিকিৎসককে এই জরিমানা করে সতর্ক করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া নোংরা পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিবেশন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ না করায় আজ বুধবার লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি হোটেলকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে হোটেলগুলো বন্ধের আদেশ দেন।
লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনীর হোটেল মোহাম্মদিয়াকে এক লাখ, হোটেল ক্যাফে মদিনাকে এক লাখ, সামিয়া হোটেলকে ৫০ হাজার, রাজীবপুর হোটেলকে ৫০ হাজার ও শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্নভাণ্ডারকে ৫০ হাজারসহ সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ভুয়া চিকিৎসক তৈয়বা খাতুনের ভুল চিকিৎসায় পাঁচ বছরের শিশু আরজুকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তৈয়বা খাতুনকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়। তৈয়বা খাতুন ভুয়া চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ সময় তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশু আরজুর চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পরে শিশুটির চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা তাঁর বাবা আজাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, নোংরা পরিবেশ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিবেশনসহ বিভিন্ন অভিযোগে আজ পাঁচটি হোটেলকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে সিলগালা করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভুয়া চিকিৎসক তৈয়বা খাতুনকে দুই লাখ টাকা ও ভুল চিকিৎসা দেওয়ার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।