সাত খুন মামলা

দ্বিতীয় দিনের মতো তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ

Looks like you've blocked notifications!

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিলেন তিনি।

আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে একটানা সাক্ষ্য দেন মামুনুর রশিদ মণ্ডল।

জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে মামুনুর রশিদ মণ্ডলের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম এক সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

এ সময় ওসি মামুনুর রশিদ জানান, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সাত খুনের প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয় মহানগর হাকিমের কাছে।

এ সময় মামুনুর রশিদ আদালতকে জানান, মামলার আসামি সৈনিক মহিউদ্দিন, সৈনিক মো. আলী হোসেন, এমদাদুল হক, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, সিপাহী আবু তৈয়ব, ল্যান্স নায়েক বেলায়েত হোসেন, পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আল আমিন শরীফ, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক শিহাব উদ্দিন, করপোরাল মোকলেছুর রহমান, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমীন ও কনস্টেবল হাবিবুল্লাহ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করার জন্য র‍্যাব হেডকোয়ার্টারে মহাপরিচালকের বরাবর আবেদন করা হয় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট।

এর আগে মামলার প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাব ১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক কমান্ডার এম এম রানা ও সাবেক মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জন ও পরদিন আরো একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়।