লক্ষ্মীপুরে যুবদলকর্মী হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
লক্ষ্মীপুরের তিতারকান্দি গ্রামের যুবদলকর্মী মাওলানা বাবর মিয়া হত্যা মামলার ১১ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. সাইদুর রহমান গাজী এ মামলার রায় দেন।
এ সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দুজন খালাস পেয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি মোরশেদ আলম ও মাসুদ পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বাকি নজন পলাতক রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন তিতারকান্দি গ্রামের আলম, মিরাজ, মঞ্জু, মহিন উদ্দিন, কালামুন্সি, মামুন ওরফে সাইফুল ইসলাম মামুন, ভুট্টু ওরফে আবদুস শহিদ, পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন, গোবিন্দপুর গ্রামের মোর্শেদ আলম, জগন্নাথপুর গ্রামের মাসুদ ও মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের আবুল বাশার।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৮ মার্চ রাতে সদর উপজেলার তিতারকান্দি গ্রামে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাওলানা বাবর মিয়াকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নুরুল আলম সদর থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আদালত ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত ১১ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও চারজনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী নুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৩ বছর পর হলেও এ রায়ে আমরা খুশি। এখন আমরা আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করার খবরের জন্য অপেক্ষা করছি। সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করছি।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আবুল কালাম বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর আদালতে এক মামলায় ১১ জনের ফাঁসির আদেশ এ প্রথম। এ রায়ের ফলে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এতে খুশি।’
আসামিদের আইনজীবী এ কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মামলাটির রায়ে আমার চারজন আসামি খালাস পেয়েছেন। তাঁরা নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়েছেন। এর রায়ের ফলে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি হয়েছে বলে আমি মনে করি।’