‘অপহরণ ও গুম জঙ্গিবাদের মতোই ভয়াবহ’

Looks like you've blocked notifications!
লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। ছবি : এনটিভি

লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, অপহরণ ও গুম জঙ্গিবাদের মতোই ভয়াবহ।

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এনটিভিকে দেওয়া এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন আবুল মকসুদ।

বিশ্বজুড়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আজ ৩০ আগস্ট পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। ২০০৬ সালে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে জাতিসংঘ।

বর্তমানে বাংলাদেশে গুমের শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় একটি অশনিসংকেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই গুম প্রতিরোধে রাষ্ট্র ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ৬০ জন ব্যক্তি অপহরণের শিকার হয়েছেন।

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাজেদুল ইসলাম সুমন, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম এবং সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা এ কে এম শামীম আকতারের মতো অনেকেরই নাম যুক্ত হয়ে বেড়েছে গুম হওয়া মানুষের তালিকা, যা এখনো থামেনি।

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ করে নৃংশংসভাবে হত্যার ঘটনা কাঁদিয়েছে দেশের মানুষকে। গুম প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে তাই প্রতিবাদের আওয়াজ উঠেছে নানা মহলে।

গুমের বিষয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘এই অপহরণ ও গুম জঙ্গিবাদের মতোই ভয়াবহ।’

গুম, খুনের যেকোনো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জোর দাবি জানিয়ে শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হতে হবে, এটা আমরা কল্পনা করতে পারি না। কোনো সন্তান তার পিতা কোথায় হারিয়ে গেছে, কবে এই দুঃখজনক ভাবনা থেকে তাদের মুক্তি আসবে।’

গুমের ঘটনায় যেন আর কাউকে স্বজনহারা হতে না হয় সেদিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি স্বজন হারানো পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ও জনগণের।