মীর কাসেমের রায় রাতে কার্যকর হচ্ছে না
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রায় আজ রাতে কার্যকর হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর-২ কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে আজ দুপুরেই মীর কাসেম আলী কৃতকর্মের দায় স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এর ফলে এখন কারা কর্তৃপক্ষ যে কোনো সুবিধামতো সময়ে দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
জেলার নাশির আহমেদ জানান, মীর কাসেম আলীকে ৪০ নম্বর কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। কারাগারের চিকিৎসকরা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাঁকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয়েছে।
কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, মীর কাসেমের ফাঁসি কাশিমপুরে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ আছে একটি। মঞ্চটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। মোম মাখানো দড়িতে বালুর বস্তা দিয়ে প্রাথমিক মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে জল্লাদ শাহজাহান, রাজু, পল্টুসহ কয়েকজনকে।
এই জল্লাদ দল এর আগে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডিত আসামি মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লা, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করেছিল।
গত মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ পৌঁছানো হয়। রাত অনেক বেশি হওয়ায় তখন মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শোনানো হয়।
বুধবার বিকেলে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন কারাগারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করার পর কারা ফটকে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের জন্য তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমের (আরমান) জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর ছেলে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী ২০১২ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকে এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাঁকে কনডেম সেলে পাঠানো হয়।