পাহাড়ে বাঙালিদের শঙ্কা অমূলক
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন কার্যকর হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাঙালিরা ভূমি থেকে উচ্ছেদ হবেন, এমন শঙ্কাকে অমূলক বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক। তিনি বলেছেন, ভূমি কমিশন শুধুমাত্র বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়েই কাজ করবে।
ভূমি কমিশনের আইন সংশোধিত হওয়ার পর আজ রোববার সকালে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান। সভাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সম্মেলন কক্ষে হওয়ার কথা থাকলেও বাঙালি সংগঠনগুলোর ডাকা হরতালের কারণে সার্কিট হাউসেই সভা করতে হয়।
সভা শেষে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এবং চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় কমিশনের কার্যক্রম শুরুকে স্বাগত জানান। এই কমিশন পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক পাহাড়ের ভূমি সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাঁরা।
সভায় কমিশনের নয় সদস্য অংশগ্রহণ করেন। সভা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পার্বত্য সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এবং সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার কমিশন সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে ভূমি কমিশনের সংশোধিত আইনকে বাঙালিবিদ্বেষী, কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং কমিশনে বাঙালি সদস্য বাড়ানোর দাবিতে বাঙালি সংগঠনগুলোর ডাকে তিন পার্বত্য জেলায় চলমান হরতালে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পার্বত্য রাঙামাটি। আজ সকাল থেকে শহরের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করেছেন বাঙালিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।