সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধানের বাড়িতে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের আঙ্গাপাড়ায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন লামা রূপসীপাড়ার বাসিন্দা উগ্যহ্লা (৩৫) ও আপ্রু মং (২৫)।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় জানান, কয়েক দিন আগে লিরাগাঁও ক্যাম্পে সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উগ্যহ্লা ও আপ্রু মংসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তোলেন থোয়াইচিং মং। মঙ্গলবার বিকেলে ওই দুই যুবক স্থানীয় একটি বাজারে থোয়াইচিং মং মারমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে থোয়াইচিং মং বাজার থেকে চলে যান। এর পর রাতের বেলায় মদ্যপান করে ওই দুই যুবক হত্যাকারী থোয়াইচিং মারমার বাড়িতে যান। তাঁরা ঘরের দরজা ভাঙচুর করেন। এ সময় থোয়াইচিং মং ঘরের ‘বাটাম’ (দরজা আটকানোর জন্য কাঠের দণ্ড) দিয়ে পিটিয়ে ওই দুই যুবককে হত্যা করেন।
অভিযুক্ত থোয়াইচিং মং মারমা আঙ্গাপাড়া সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির স্থানীয় সভাপতি। এ ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর আলী জানান, আঙ্গাপাড়া কার্বারীর ছেলে থোয়াইচিং মং দুই যুবককে কাঠের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে তার বাড়ির সামনে থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হত্যাকারী পালিয়ে যাওয়ায় এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এ ঘটনায় নিহত উগ্যহ্লা মারমার স্ত্রী মেনুচিং মারমা রোয়াংছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান ওসি।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, এটি কোনো রাজনৈতিক বা পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নয়। এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। হঠাৎ উত্তেজিত স্থানীয় একজন হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহত দুজনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।