প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় দখল!
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/04/30/photo-1430414393.jpg)
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত কার্যালয়টি প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কার্যালয়টি দখল করে নিজের নামফলক লাগিয়ে দেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান। এ নিয়ে রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা কার্যালয় দখলের বিষয়টি জানেন না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ওই কক্ষের সামনে থেকে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার নামফলকটি খুলে নেয় বিক্ষুব্ধরা। তবে কার্যালয়ের দখল এখনো ছাড়েননি প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান। রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদটি কয়েক মাস ধরে শূন্য রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাসিকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গত ৬ জানুয়ারি থেকে ২০ দলের ডাকা অবরোধ ও একের পর এক হরতালের মধ্যে চলা নাশকতার মামলায় আসামি হয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে করপোরেশনের প্রায় অধিকাংশ কাজে খবরদারি করছেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান। তিনি একক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইচ্ছেমতো বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও করে চলেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি হঠাৎ করে নগর ভবনে প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে যান। এ সময় তিনি কার্যালয়ের অফিস সহকারীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলে নিয়ে সেখানে নিজের ফাইলপত্রও রাখেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি কার্যালয়ের সামনে ফটকের পাশে লাগানো প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামের বোর্ডটি খুলে নিয়ে সেখানে নিজের নামফলক লাগিয়ে দেন।
রাসিকের কর্মকর্তারা আরো জানান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদটি কয়েক মাস ধরে শূন্য রয়েছে। এর ফলে ওই কার্যালয়টি তালা দেওয়া ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান কার্যালয়টি দখল করেন। কার্যালয়টি তাঁর কার্যালয়ের চেয়ে বড়সড় এবং দেখতেও সুন্দর বলে তিনি সেটি দখল করেন-এমন মন্তব্য করেছেন একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কে বা কারা আমার সাইনবোর্ড সেখানে লাগিয়েছে, আমি জানি না। আমি কারো কার্যালয় দখল করিনি।’
তবে রাজস্ব দপ্তরের ফাইল ওই দপ্তরে কীভাবে গেল, জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান কোনো উত্তর দেননি।