যাত্রীরা গরমে ছাদে ওঠায় লঞ্চ ওভারলোডেড মনে হয়

ঈদে ঘরমুখি মানুষ নিয়ে দেশের বিভিন্ন নৌরুটে চলাচল করা নৌযানগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘গরমের কারণে যাত্রীরা ছাদে গিয়ে ওঠেন, তখন লঞ্চকে ওভারলোডেড বলে মনে হয়।’
আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাট পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের নৌমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘প্যাসেঞ্জার কিছু বেশি নেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগটা আসছে। এখানে একটা বিষয় আছে কিন্তু টেকনিক্যাল বিষয়টাও একটু বুঝতে হবে। প্রত্যেকটা লঞ্চে যে ধরনের মাল ক্যারি করতে পারে, কোনো লঞ্চে যদি ৩০০ ক্যাপাসিটি থাকে তাহলে সে যদি ১০০ মেট্রিক টন মাল ক্যারি করতে পারে ঈদের সময় সেই মালটা সে ক্যারি করে না। এই যে অতিরিক্ত যে যাত্রীটা আসে, ওইটার জন্যই কিন্তু লঞ্চগুলোকে স্টেবল রাখা সম্ভব হয়। সেই হিসেবে ওই তুলনায় যাত্রী যে খুব বেশি ওভারলোডিং করতে দিচ্ছি আমরা তা নয়। আর সমস্যা হয়ে যায় গরমের দিন তো সব গিয়ে ছাদে ওঠে। মনে হয় এটা বোধহয় খুব ওভারলোডেড। আসলে প্রকৃতপক্ষে তা না। আমরা দেখেছি যখন বৃষ্টি হয়, সব যখন নিচে চলে আসে তখন কিন্তু লঞ্চটা ওভারলোডেড মনে হয় না।’
চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশের নৌপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় সরকার ২০১৬ সালকে নৌ-দুর্ঘটনামুক্ত বছর হিসেবে ঘোষণা করার অপেক্ষায় রয়েছে বলে এ সময় জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা নয়টি মাস অতিক্রম করেছি। এর মধ্যে কোনো ধরনের নৌ-দুর্ঘটনা হয়নি। আর কয়েকটি মাস পার করতে পারলেই আমরা সফল হব।’
দেশের সব লঞ্চ ও ফেরিঘাট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হরিনা ফেরিঘাট পরিদর্শনের সময় নৌমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান ভোলানাথ দে, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সবুর মণ্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ।