‘ইথাইল ড্রামগুলো একেকটা বোমার মতো’
গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডের কারখানার ধ্বংসাবশেষ রানা প্লাজার চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসান। তিনি জানান, এ কারখানায় যে ইথাইল ড্রামগুলো আছে, সেগুলো একেকটা বোমার মতো।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে একটি দল আজ সোমবার সকালে ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানার ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গত শনিবার সকাল ৬টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর রেলগেট এলাকায় ট্যাম্পাকোর ফয়েল পেপার তৈরির কারখানায় রহস্যজনক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মোট ৩৩ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে কারখানাটিতে আজ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। উদ্ধারকাজে তাদের সহায়তা করছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বদানকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বেসিক্যালি আমাদের সেনা সদর থেকে যে ইনস্ট্রাকশনটা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা কাজে এগোচ্ছি। আজকে সকালে আমরা ইনিশিয়ালি রিকগনাইজের চেষ্টা করেছি, আমাদের কাজের ধরনটা কী হবে সে বিষয়ে। তো, সে অনুযায়ী আমরা প্লানিং করেছি। আমরা তিন সাইড থেকে কাজ করব।’
‘কিন্তু আমাদের মেইন হেজার্ড যেটা, এখানে যে ইথাইল ড্রামগুলো আছে, এক একটা বোমার মতো। ইথাইল ড্রামগুলো এত বেশি স্প্রিটেড অবস্থায় আছে, এত রিস্কি অবস্থার মধ্যে থেকে আমাদের কাজটা করতে হবে সতর্ক থেকে। অসতর্কতার মধ্যে যদি এটাতে খোঁচা লাগে বা বাস্ট হয়ে যায়, ইট অ্যাক্ট এস বোম্ব। সে জন্য আমরা যতটা সম্ভব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি।’
মাহমুদ হাসান আরো বলেন, ‘মে বি আমাদের (কারখানার এলাকা) পূর্ব সাইডের যে গার্বেজগুলো দেখতে পারছি, তা দুপুরের মধ্যে সরাতে পারব। বাকি যে কাজটা আছে তা সরাতে সময় লাগবে। যে পরিমাণ গার্বেজ জমে আছে, তা রানা প্লাজার চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের যতটুকু সম্ভব করছি। নিরাপত্তার বিষয়ে দেখছি। ইথাইলের ড্রামগুলো বাদ দিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
কারখানার ধ্বংসাবশেষ সরাতে কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘কত সময় লাগবে, এটা বলা মুশকিল। আগে বলেছি যে, এটা (গার্বেজ) রানা প্লাজার চেয়ে অনেক বেশি। এখানে গার্বেজ যেগুলো জমে আছে, তা ব্যবস্থাপনায় আমাদের মাসের ওপর সময় লাগবে। দুই মাসও লাগতে পারে। আজকে আমরা কাজ শুরু করেছি। দেখি, কালকে রাতে কাজ করতে পারি। তবে ঈদের পরের দিন থেকে দিনরাত কাজ করব।’