টাম্পাকোয় এখনো উড়ছে ধোঁয়া
গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড নামের কারখানার বিভিন্ন অংশ থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে এসব স্থানে পানি নিক্ষেপ করেন উদ্ধারকর্মীরা।
কারখানার ধ্বংসাবশেষ সরাতে আজ সকালেও সেনা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত ১১ জন নিখোঁজ শ্রমিক ছাড়াও অজ্ঞাত লোকজনের সন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। ভবনের ছাদ ও ভিমের রড কেটে ছোট ছোট টুকরো করা হচ্ছে। পরে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধসে যাওয়া ভবনের ঢালাই, ইট-পাথর ড্রাম ট্রাক দিয়ে অন্যত্র সরানো হচ্ছে।
নয়দিন ধরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথভাবে ধ্বংসস্তূপ অপসারণে কাজ করছেন। আজ সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।
হতাহত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের কাছে অর্থসহায়তা তুলে দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম আলম।
টাম্পাকোর নিহত ২১ জন শ্রমিকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। আর আহত ২৫ জন শ্রমিককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে টাম্পাকোর নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডের কারখানায় ১০ সেপ্টেম্বর গ্যাস সঞ্চালন লাইন বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিষ্ঠানটির চারটি ভবনের তিনটি ধসে পড়ে। এতে এ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরো ৩৪ জন আহত ও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৮টি লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
টাম্পাকোর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। কারখানার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আবদুল কাদের। পরে গত শনিবার রাতে কারখানার মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করে টঙ্গী থানা পুলিশ। এ মামলার বাদী হয়েছেন টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার।