শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা : আটক ৫ জনকে অব্যাহতি

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ এলাকায় হামলার ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আবদুস সালাম খান এ আদেশ দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, তদন্ত শেষে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত ঈদুল ফিতরের সকালে শোলাকিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ওই পাঁচজনকে ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় আটক করা হয়েছিল। তারা হলেন শোলাকিয়া গরুরহাট এলাকার মামুনুর রশিদ (২৭), শহরের বয়লা এলাকার মো. সানাউল্লাহ (৩০), বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর এলাকার সোহেল মিয়া (২০), ভৈরব উপজেলার পঞ্চবটি এলাকার তারা মিয়া (২৫) ও শহরের তারাপাশা এলাকার আরিফুল ইসলাম হাসিব (২৬)।
ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে পুলিশ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। হামলায় পুলিশের দুই সদস্য, এক জঙ্গি ও বাড়ির ভেতরে থাকা এক গৃহবধূসহ চারজন নিহত হয় এবং আট পুলিশ সদস্য ও তিন পথচারী গুরুতর আহত হয়।
শোলাকিয়া পুলিশের ওপর জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় শরীফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ইসলাম (২২) ও জাহিদুল হক ওরফে তানিমকে (২৪) আসামি করে মামলা করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামির মধ্যে শফিউল ইসলাম গত ৫ আগস্ট র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
র্যাব ১৪-এর ভাষ্যমতে, ঈদের দিন পুলিশের গুলিতে আহত জঙ্গি শফিউলকে ময়মনসিংহে চিকিৎসা শেষে কিশোরগঞ্জ ফিরিয়ে আনার সময় আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা র্যাবের গাড়িবহরে হামলা চালায়। কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কের ঘোষপালা ডাংরি এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে জঙ্গি শফিউলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাবের মাইক্রোবাসে থাকা জঙ্গি শফিউল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।