কিবরিয়া হত্যা : বিস্ফোরক মামলাও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

Looks like you've blocked notifications!
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। পুরোনো ছবি

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশি প্রহরায় মামলার নথি ও যাবতীয় কাগজপত্র হবিগঞ্জ থেকে সিলেটে পাঠানো হয়।

হব্গিঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, আমলি আদালতের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে অভিযোগ গঠন করে বিচারের জন্য এই মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবিরয়া হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলাটির বিচারকাজ সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি আসে। সেখানে বলা হয়, বিস্ফোরক মামলাটিও সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলবে। তাই কঠোর নিরাপত্তায় মামলার সব ডকুমেন্ট সিলেটে পাঠানো হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনজীবী আরো জানান, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার নির্ধারিত তারিখে যদি জামিন ও কারাগারে থাকা সব আসামিকে উপস্থিত করা হয় তাহলে সেদিনই অভিযোগ গঠন হবে।

এ দিকে বিস্ফোরক মামলায় হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন সিলেটের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক। ২৫ সেপ্টেম্বর এর শুনানি ও আদেশের তারিখ নির্ধারিত ছিল।

অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, যেহেতু মামলার নথিপত্র সিলেটে চলে গেছে তাই এর শুনানি আর হবিগঞ্জে হবে না। সিলেটে এর শুনানি হতে পারে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র আলহাজ জি কে গউছ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ আসামি কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন আটজন। এ ছাড়া বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১০ জন পলাতক।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা জজ আতাবুল্লাহ বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন। এরই মধ্যে সব আসামির ক্রোকাদেশ তামিল হওয়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন।

এ ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।