দেশে আর কোনো রাস্তার প্রয়োজন নেই : অর্থমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি : এনটিভি

দেশে আর কোনো নতুন রাস্তার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ দেশে আর কোনো রাস্তার প্রয়োজন নাই, এখন প্রয়োজন এগুলোকে একটু মানুষ করা। আগামী বাজেটে সেদিকে নজর দেওয়া হবে।’

আজ শুক্রবার রাতে এনটিভি আয়োজিত ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ অনুষ্ঠান চলছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করব, আপনারাও আর রাস্তা তৈরির প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করবেন না।’ তিনি

বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা বাড়িয়েছি, কিন্তু সঞ্চালন ব্যবস্থা সেরকম করে উন্নত হয় নাই, এদিকে এই বছর নজর দেওয়া হবে। গ্যাস নিয়ে এলএনটি স্টেশন স্থাপন করা এবং কনভার্ট করার কাজটি সে রকম হয় নাই। এটা নিয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু টোল রাস্তার প্রয়োজন রয়েছে, তা না হলে আমাদের পরিবহন খাতটিকে উন্নয়ন করা কঠিন হবে। যতই রাজস্ব আদায় করি না কেন সবই তো পরিবহন খাতে দেওয়া যায় না।’

আইসিটি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ট্যাক্স হলিডের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যা আছে সেই ব্যবস্থায় হয়তো একটু উন্নয়ন করা যায়। বায়োটেকনোলজিতে আমরা যথেষ্ট অ্যাডভান্স হয়েছে। আগের চেয়ে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে, যদিও জমির পরিমাণ কমেছে প্রতিবছর।’

সুদের হার কমানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সুপারিশের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুদের হার তো সরকার নির্ধারণ করেন না। এটা আপনারাই করেন। আপনারা, ব্যবসায়ীরা একদিকে লোন নেন, আবার যখন লোন দেন তখন আপনারা সূদের হার বেশি করে নির্ধারণ করেন।’

পেট্রোলিয়াম ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম এবং এনার্জি সোর্স নিয়ে আমাদের ব্যবস্থা অত্যন্ত বাজে ব্যবস্থা। এতে একবার ভর্তুকি দিচ্ছি, আবার অন্য খাত থেকে আদায় করছি, এটা জঞ্জাল সৃষ্টি করছে পুরো সিস্টেমে।’

সেই অর্থনীতি আর নেই

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হবে এ বছরেই। ছয় বছর আগে ৯২ হাজার কোটি টাকার বাজেট থেকে এবার তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হচ্ছে।’

ভবিষ্যতে সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। আলোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেছেন, সেই অর্থনীতি আর নেই। এখনকার অর্থনীতি একবারেই আলাদা। এখনকার বাজেট বিরাট বাজেট। আমাদের অর্থনীতি বিরাট অর্থনীতি।’

অনুষ্ঠানের আলোচক সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ড. দেবপ্রিয় বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলে অভিহিত করেন। এ শব্দটি আমি পছন্দ করি। এটা শুনতেও আমি অভ্যস্ত। আমি প্রতিবছরই উচ্চাভিলাসী বাজেট দেই। ২৭ বছর আগে আমি মন্ত্রী ছিলাম। তখন ছিল ৩ শতাংশ। আমি ছয় বছরে বাড়িয়েছি ৩ শতাংশ। ৯২ হাজার কোটি টাকা থেকে এখন বাজেট হচ্ছে তিন লাখ কোটি টাকা। আমার টার্গেট সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া। আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এ বছর হবে।’

‘আমরা ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে বের হতে পারছি না। আশা করছি, আগামী বছর পারব,’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।