ইলিশ ধরে জেলে গেলেন ১০ জেলে
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের দায়ে মৎস্যজীবী সমিতির এক নেতাসহ ১০ জেলেকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আর ইলিশ মাছ বিতরণ করে দেওয়া হয় এতিমখানায়।
আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর আগে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় পাঁচ হাজার মিটার জাল এবং একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কমলনগর উপজেলার কালকিনি ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন (৩৮), চর সামছুদ্দিন গ্রামের আবু তাহের (৫৬), চর কালকিনি গ্রামের মহিউদ্দিন (২৬), সদর উপজেলার মধ্য চর চরমনী গ্রামের আলাউদ্দিন (৩৮), নোয়াখালীর পূর্ব মাছছড়া গ্রামের মো. মোস্তাফা (৫৮), হোসেন আহম্মদ (৪৫), মো. সিরাজ (৫২), মো. শাহাজাহান (৪৫), মনির হোসেন (৩৬) ও মো. আলাউদ্দিন (২৮)।
অভিযান পরিচালনার সময় ইউএনও ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহিব উল্লাহ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম প্রমুখ।
আজ (১২ অক্টোবর) থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ২৭ জেলায় সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদী পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব প্রজাতির মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ সময়ে মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে বেকার থাকা জেলেদের জন্য ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এ আইন আমান্য করলে এক বছর থেকে দুই বছরের জেল অথবা জরিমানা এবং উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে।