পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীতে বুধবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহরের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

এর মধ্যে অস্ত্রের আঘাতে আহত জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রিফাত হাসান সজীব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র দাসকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা ছিল। কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত না থাকায় কমিটি গঠনের কার্যক্রম স্থগিত করে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপরই বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।

ছাত্রনেতা রিফাত হাসান সজীব এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেদ খান মনগড়া কমিটি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যে কমিটিতে আছেন হাইব্রিড ছাত্রলীগ এবং ছাত্র নয় অথচ বিবাহিতরা। এর প্রতিবাদ জানালে প্রতিপক্ষ তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেদ খান এনটিভিকে জানান, তাঁরা কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। যারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুর করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ না। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান দুই ছাত্রলীগ নেতা।

এদিকে হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করেন। এরপর বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ মার্কেটের সামনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা আবারও কথাকাটাকাটিতে লিপ্ত হলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়নি। তবু শহরে পুলিশি টহল ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত বছর ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। ওই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে নাসির হাওলাদারকে সভাপতি, রিফাত হাসান সজীবকে সহসভাপতি, রাসেদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ও রতন চন্দ্র দাসকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে চারজনের কমিটি ঘোষণা করা হয়।