আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রকে পিটিয়ে জখম
রাঙামাটি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সোলায়মান চৌধুরীর কনিষ্ঠপুত্র মহিউদ্দিন রিমন বাবুকে (২৪) পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে পাঁচ যুবক। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের কাঁঠালতলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত বাবুকে তাৎক্ষণিভাবে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর ঠোঁটে ছয়টি সেলাই দেওয়ার পর রাতেই বাসায় নিয়ে আসা হয়।
বাবু জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাঁঠালতলী এলাকায় তাঁকে একা পেয়ে কোনো কারণ ছাড়াই বেধড়ক মারধর শুরু করে এলাকার মানিক, তাঁর ভাই মামুন ও মাহিম, বনরূপার ফাহিম ও রাকিব। এতে তাঁর ঠোঁট ফেটে যায় এবং হাত ভেঙে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলাকারীরা সবাই রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি সুজন ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এদিকে বাবুর ওপর হামলার ঘটনার পরপর ক্ষুব্ধ কিছু যুবক হামলাকারীদের বাসায় পাল্টা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা উচ্চস্বরে মানিক, মামুন, মাহিম, ফাহিম ও রাকিবকে খুঁজতে থাকেন।
রাঙামাটি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সোলায়মান চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘মানিক, মামুন, মাহিম ও ফাহিম মিলে আমার সন্তানকে বিনা কারণে এমন নৃশংস হামলা করেছে। হামলার সময় মাহিম ও ফাহিমের হাতে পিস্তল ছিলো। তারা রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে আমার সন্তানকে। তার হাত ভেঙে গেছে। আমি এই ঘটনায় মামলা দায়ের করব।’
সোলায়মান চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রমণী কাদের আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখন তার পুত্র ফাহিম ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে আমার সন্তানসহ ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলা করছে। এটাকে কোনোভাবেই ছাড় দেব না আর আমরা।’ ছাত্রলীগকে জামায়াত পরিবারমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ রশীদ জানিয়েছেন, ‘ঘটনা শুনে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। সেখানে এখন পুলিশ আছে। মামলা হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’