লক্ষ্মীপুরে শিশু হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরের শিশু পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মামুন (৭) হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামুন চাঁদপুর জেলার মধ্য ইছুলীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আকতার মিয়ার ছেলে।
আজ বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীপুর শিশু পরিবারের খালা (আয়া) হামিদা বেগম, যশোরের বাসিন্দা কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল বাশার ও বরিশালের বাকেরগঞ্জের বাসিন্দা শিক্ষক সাইফুর রহমান।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া হামিদা বেগম ও খায়রুল বাশারকে ২০১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আরো সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন ভোলার বাসিন্দা দারোয়ান বাবুল হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ জুন লক্ষ্মীপুর শিশু পরিবার থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. মামুন (৭) নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের তিনদিন পর ২ জুলাই শিশু পরিবার সংলগ্ন সাহাপুরের একটি পুকুর পাড় থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় শিশু মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল আজিজ মাহবুব বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় লক্ষ্মীপুর শিশু পরিবারের আয়া হামিদা বেগম, কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল বাশার, শিক্ষক সাইফুর রহমান ও দারোয়ান বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়।