নদীতে বিলীন ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে : পানিসম্পদমন্ত্রী
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, শুধু নদী ভাঙন রোধেই নয়, নদী ভাঙনে বিলীন হওয়া ভূমি পুনরুদ্ধারের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হাজিরহাট হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ সরকার দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম নুরুল আমিন মাস্টারের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর-৩ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান, ১৪ দলীয় ঐক্যজোটের কমলনগর উপজেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু।
এর আগে দুপুর ১২টায় রামগতি উপজেলার রামগতি ও আলেকজান্ডার নদী ভাঙন রোধে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন এবং দুপুর ২টায় কমলনগরের মাতাব্বরনগর এলাকায় নদী ভাঙন রোধে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা, কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সাহেবের হাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, ফলকন ইউপি চেয়ারম্যান হাজি হারুনুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফজলুল হক সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক আহসাল উল্যাহ হিরণ।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ৩৭ কিলোমিটার এলাকায় মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দ দিয়ে রামগতি উপজেলা সদর চর আলেকজান্ডার এলাকায় সাড়ে তিন কিলোমিটার, রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কমলনগরের মাতাব্বরহাট এলাকায় এক কিলোমিটার নদীর তীরে সিসি ব্লক-বাঁধের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ওই কাজ বাস্তবায়ন করছে।