বিশ্বে ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতিতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ : পার্বত্যমন্ত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই দেশের সব মানুষ সুন্দরভাবে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছে। প্রত্যেক ধর্মের উন্নয়নে সরকার সমভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এ কারণেই বিশ্বে ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে আছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
বান্দরবানে আজ শুক্রবার (২৬ মে) সকালে বীর বাহাদুর উশৈসিং দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভবন উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভবন উদ্বোধন আরেকটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
পার্বত্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে বাসস্টেশন সংলগ্ন বায়তুল শরফ জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে শ্রী রামঠাকুর সেবাশ্রম ভবন উদ্বোধন করেন।
এ সময় বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মিরা, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত, শ্রী শ্রী রামঠাকুর সেবক সংঘের সভাপতি অরুণ কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক তাপস কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে পার্বত্যমন্ত্রী অসহায় শতাধিক নারী ভক্তর মধ্যে পরিধেয় বস্ত্র শাড়ি উপহার বিতরণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুষ্ঠু ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই দেশের সব মানুষ সুন্দরভাবে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছে। প্রত্যেক ধর্মের উন্নয়নে সরকার সমভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এ কারণেই বিশ্বে ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতিতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।’
পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরও বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, ড্রেন, সুয়ারেজ দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি সব ধর্মাবলম্বীদের জন্য মসজিদ, মন্দির, গির্জা, বিহারসহ ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণ করে ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য যা বলেন, তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করেন। দেশের মানুষ তাই নির্বিঘ্নে-নিশ্চিন্তে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারছেন।
এ সময় পার্বত্যমন্ত্রী আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়নকাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।