কিসের জাদুতে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আজ সোমবার বিকেলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার হঠাৎ করে বলছে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে! কী এমন জাদু হলো যে রেমিট্যান্স বেড়েছে। কিসের জাদুতে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এর মূল কারণ হলো, চুরি হওয়া টাকা ফেরত আনছে লুটেরারা।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আজ সোমবার (২৯ মে) বিকেলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকদিন আগে সরকার খুব লাফালাফি করেছিল। এখন কিন্তু থেমে গেছে। এখন বলেন, আমরা সংঘাত চাই না। আলোচনায় বসতে চাই। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে এসেছি। এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। আমাদের দশ দফার আন্দোলনের প্রথম দফা সরকারের পদত্যাগ। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন চাই, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।

মির্জা ফখরুল সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মনে রাখতে হবে, তারা (সরকার) আমাদের ফাঁদে ফেলতে চাইবে। গাড়ি পোড়াবে, অগ্নিসংযোগ করবে তারা, দায়ভার দিবে আমাদের।

প্রয়াত জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, তাঁর মৃত্যু সংবাদে সারা দেশ ছিল বাকরুদ্ধ। যে জিয়া মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে কোনো লাভ নেই। তাঁকে যতই খাটো করা হোক ধ্রুবতারার মতো সত্য জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক। দেশের কঠিন সময়ে এই জাতির সামনে ত্রাণ কর্তা হিসেবে হাজির হয়েছেন। যতই মিথ্যাচার করেন না কেন, তাকে কারো মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, সে গণতন্ত্র আজ ১৫ বছর যাবত ভূলুণ্ঠিত। সে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে জিয়াউর রহমানকে জানতে হবে। কীভাবে তিনি একটি অন্ধকার জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। কীভাবে প্রতিটি জাতীয় সংকটে ত্রাণকর্তার ভূমিকা রেখেছেন।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।