তামাক ব্যবহার বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্টি করছে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিআইডির ফাইল ছবি

তামাক ব্যবহার অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা বলা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তামাক ব্যবহার অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্টি করছে। তামাক সেবনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাক সেবন কেবল ধূমপান, জর্দা ও গুলের ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করে না, পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’

শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাকের ব্যবহার হ্রাস করার লক্ষ্যে ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল’ (এফসিটিসি) প্রণয়ন করেছে। এফসিটিসির আলোকে বাংলাদেশে ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণীত হয় ও ২০১৩ সালে তা সংশোধন করা হয়। জাতিসংঘ তামাককে উন্নয়নের হুমকি বিবেচনায় নিয়ে এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) প্রণয়ন করেছে। এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়টিকে ৭ম ও ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যুক্ত করেছে।”

বর্ধিত নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও বসতি গড়ে তোলার কারণে কৃষিজমি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পাচ্ছে জানিয়ে বাণীতে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষত পানির অভাবে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বশেষ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেল, সার ও কীটনাশকের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, খাদ্যপণ্যের ব্যাপক হারে মূল্য বৃদ্ধি ঘটে। এ অবস্থায় তামাকের মতো বহুমাত্রিক ক্ষতিকর ফসলের চাষ কমিয়ে এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো জরুরি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের তথ্যের কথা টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতি ৩০০টি সিগারেট তৈরির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ কাটা পড়েছে। তামাক চাষ ও তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রতিবছর গড়ে দুই লাখ হেক্টর বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তামাক চাষে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের ক্ষতিকর রাসায়নিক মাটি ও পার্শ্ববর্তী জলাশয়ের পানি দূষণ করছে। ফলে, মাটি, বায়ু ও পানি নির্ভর জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষি ব্যবস্থা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে।’