পুলিশের ওপর হামলায় মোশা বাহিনীর মূলহোতসহ গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্রামবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া মোশা বাহিনীর প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকেও গ্রেপ্তার করেছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
খন্দকার আল মইন বলেন, ‘মোশা বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন মোশার নেতৃত্বে প্রায় ৮০ জন সদস্য রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অবৈধভাবে জমি দখল, হুমকি ও মাদক ব্যবসাসহ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে মোশাসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকেও (৫২) গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। মোশাররফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, বিষ্ফোরক দ্রব্য, চাঁদাবাজি, মাদক ও প্রতারণাসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামালায় বিভিন্ন মেয়াদে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন।’
খন্দকার আল মইন আরও বলেন, ‘গত ২৫ মে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নাওড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সৃষ্টি হলে মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় শোডাউন, লোকজনকে মারধর ও গুলিবর্ষণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করলেও মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের আহত করে মোশারফকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩-এর যৌথ অভিযানে বুধবার কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে সহযোগীসহ মোশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
খন্দকার মইন বলেন, ‘মোশারফ স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। মোশা বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে অর্থের বিনিময়ে ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাভোগ করেছেন।’
