এনটিভির প্রতিবেদনের পর হিলি চেকপোস্টে অতিরিক্ত ভ্রমণকর প্রত্যাহার

Looks like you've blocked notifications!
হিলি ইমিগ্রেশন কার্যালয়ের সামনে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। ছবি : এনটিভি

প্রস্তাবিত বাজেট পাশ না হলেও দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্টে ভারত ও বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণকর হিসেবে নেওয়া হচ্ছিল এক হাজার টাকা। অতিরিক্ত ৫০০ টাকা নেওয়া নিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনে প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্রমণকর, হিলি চেকপোস্টে আজ থেকেই কার্যকর শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরেই নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অবশেষে, আজ শনিবার (৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ভ্রমণকর নেওয়া বন্ধ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করছে।

আজ হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আশরাফুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কাস্টমসের ব্যাগেজ শাখা থেকে ভ্রমণকর ৫০০ টাকা করে নেওয়ার কথা আমাকে জানানো হয়। এরপর থেকেই পূর্বের নির্ধারিত ভ্রমণকর নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই ভ্রমণকর নেওয়া হবে। ১ জুলাই থেকে এক হাজার টাকা ভ্রমণকর কার্যকর হবে।’

হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে এক হাজার টাকা ভ্রমণকর গ্রহণ করা হবে।’ গতকাল ও আজ বিকাল পর্যন্ত এক হাজার টাকা ভ্রমণকর নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আজ বিকেলের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য হিলি চেকপোস্টে যান বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী মাহবুব হোসেন। এনটিভি অনলাইকে তিনি বলেন, ‘আমি ৫০০ টাকা ভ্রমণকর দিয়ে ভারতে যাচ্ছি। এখানে এসে শুনলাম দুপুরের পরও অনেক যাত্রী এক হাজার টাকা ভ্রমণকর দিয়ে গেছেন।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করা দুদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে ভ্রমণকর নেয় হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন যাত্রীরা। 

গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ ভ্রমণে ভ্রমণকর দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই প্রস্তাবের পরেই ভ্রমণকর এক হাজার টাকা করে নিতে থাকে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো নির্দেশনা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ সাপ্তাহিক ছুটির কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে বাজেট নির্দেশিকা পাওয়া যায়নি। তবে স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার স্যারের মৌখিক নির্দেশে এবং বাজেট নির্দেশিকা অনুযায়ী যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে এই ভ্রমণকর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আজ (শুক্রবার) সকালে ব্যাগেজ শাখায় দায়িত্বরতদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে ভ্রমণকর ৫০০ টাকা ছিল। আজ থেকে ১০০০ টাকা কার্যকর করা হয়েছে এবং গ্রহণ করা হচ্ছে। পাসপোর্ট যাত্রীরা ভ্রমণকরের টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করে কাস্টমস ব্যাগেজ শাখায় চালানের কপি জমা দিয়ে গমন করতে পারবেন।’