প্লাস্টিক দূষণরোধে ১০ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে : পরিবেশমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আজ রোববার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। ছবি : পরিবেশ মন্ত্রণালয়

প্লাস্টিক দূষণরোধে দশ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, বন সম্প্রসারণ এবং বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধে ২০০৯-১০ হতে ২০২১-২২ আর্থিক সাল পর্যন্ত দেশে  ১০ কোটি ৮৬  লাখ গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। দেশব্যাপী পরিবেশের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। 

আজ রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৩ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। 

দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্‌যাপন করা হবে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণরোধে দশ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে তিন বছর মেয়াদিপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিন হাজার ৬৯২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসময়ে পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায়, এক হাজার ৭৬৩ টন পলিথিন জব্দ এবং ১৬৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরবনসহ অন্যান্য বনভূমিতে যাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দ্বারা কোনো দূষণ না হয়, সে বিষয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ 

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন মোট ভূমির ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হতে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির পরিমাণ ১৪ দশমিক এক শতাংশ হতে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’