রংপুর কাউনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
রংপুর কাউনিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : এনটিভি

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তিনি ওই উপজেলার খানসামাহাটে আওয়ামী লীগকর্মী সোনামিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি। আজ সোমবার (৫ জুন) তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক শহীদুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী। তিনি বলেন, ‘সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ সোমবার রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানান। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

পুলিশ ও  আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামাহাট এলাকায় ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী মাঠে উপস্থিত হতেই নেতাকর্মীরা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার নামে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে স্লোগান দেওয়া নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। বিকেলের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চার নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেন।  সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।

এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল (বুধবার) বেলা ২টার দিকে সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান (২৯) বাদী হয়ে কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে কাউনিয়া থানায়  হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।