একটু সাশ্রয়ী হলে দুদিনের পানি ৩ দিন ব্যবহার করা যাবে : ওয়াসার এমডি

Looks like you've blocked notifications!
তাকসিম এ খানের ফাইল ছবি

একটু সাশ্রয়ী হলে দুদিনের পানি তিন দিন ব্যবহার করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। একইসঙ্গে তিনি জানান, ওয়াসার পানি সরবরাহে বড় সমস্যা বিদ্যুৎ না থাকা। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর ওয়াসা ভবনে তীব্র গরম ও অনাবৃষ্টিতে পানি সরবরাহ চ্যালেঞ্জ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। বলেন, ‘বিদ্যুৎ সমস্যা দূর হয়ে গেলে পানির সমস্যাও কেটে যাবে।’

ওয়াসার এমডি বলেন, ‘মাইকিং করেও পানির সমস্যা কথা জানানো হচ্ছে। পানির ব্যবহার কমানো গেলে ওয়াসার সেবা দেয়া সহজ হয়। যেসব বাড়িতে দুই দিনের পানি মজুদ রাখা হয়, সেসব এলাকায় একদিন কমিয়ে অন্য জায়গায় দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।  রানিং সময়ে পানি ব্যবহার করলে দুই গুণ বেশি পানি খরচ হয়। একটু সাশ্রয়ী হলে দুদিনের পানি তিন দিন ব্যবহার করা যায়।’

বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে পানি সরবরাহে অসুবিধা হচ্ছে উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি বলেন, ‘এই মুহূর্তে স্বাভাবিক পানি সিস্টেমে ব্যাঘাত হচ্ছে। পানির প্রোডাকশন ঠিক আছে, তবে পাওয়ারে সমস্যার কারণে এই অসুবিধা নগরবাসীর হচ্ছে। যে ব্যাকআপ বিদ্যুৎ আমরা ব্যবহার করি সেগুলো যথেষ্ট হচ্ছে না। ডিপ টিউবওয়েল চালানো যাচ্ছে না। কোনো কোনো এলাকায় বেশি অসুবিধা হচ্ছে।’  

তাকসিম এ খান জানান, ওয়াসার ৬২ শতাংশ এলাকায় বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ওয়াসার দশটা জোনের মধ্যে ছয়টা জোনে কোনো অসুবিধা নেই। ৩৫ শতাংশ সেবা ঠিক আছে। কয়েকটি গ্যাস ব্যাকআপ আছে সেগুলোতে অসুবিধা নেই। ৬২ শতাংশ এলাকায় সরবরাহে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর হয়ে গেলে পানির সমস্যাও কেটে যাবে।’

পানি ব্যবহারে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওয়াসার এমডি বলেন, ‘পানি ব্যবহারে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। পানি গরম বলে ফেলে দেয়া যাবে না। রানিং পানিতে গোসল না করে বালতিতে পানি ধরে গোসল করার অনুরোধ। তাহলে অনেক পানি থাকবে এবং সেটা অন্যরা ব্যবহার করতে পারবে।’