আমদানির ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ এখন বাজারে
হুট দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করেছিল পেঁয়াজের দাম। এর জেরে গত ৫ জুন থেকে রন্ধনশিল্পে বহুল ব্যবহৃত এই প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত সরকার পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে এসেছে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আজ রোববার (১১ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বাণিজ্য সচিব।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘সরকার এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে এসেছে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরপরই বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত বাকি পেঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরও কমবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে ভোজ্যতেলের দাম আরও কমানো যায় কি না তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘গত এক বছরে চাহিদা বিবেচনায় দেশে চিনি, গম ও আদা ব্যতীত অন্য কোনো পণ্য সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঈদুল আজহাতে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে।’
আদার সংকট নিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা ব্যবসায়ী সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।’
আমদানি কমার বিষয়টি তুলে ধরে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘দেশে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি ২৪ লাখ টন এবং চিনি আমদানি ৭২ হাজার টন কমেছে। আমদানি কম হওয়ার দামের প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশের চিনি চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে।’