চাঁদপুর নৌবন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পেলেন ক্ষতিপূরণ
চাঁদপুরে আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ স্থানে থাকা ৭৪ ব্যবসায়ীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯০ লাখ ২৯ হাজার ৯১৯ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে শহরের বাগাদী রোডে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ এস্টেট এলাকার রেস্ট হাউসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে এসব চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি যুগ্ম সচিব ও বিআইডাব্লিউটিএর সদস্য (প্রকৌশল) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, উন্নয়নের জন্য আমাদের পরিবর্তন হতে হবে। সরকারের কাজে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আজকে যারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আপনারাও এই উন্নয়নের অংশীদার। আপনাদের উচ্ছেদ নয়, প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন। আমরা সবাই হলাম সেই স্বপ্নের সোনার বাংলার একজন কর্মী। বিআইডব্লিউটিএর কাজ হলো নরসুন্দরের মতো। মানে যেখানে নদীতে চর পড়ে সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনা।
এ কে এম আজাদুর রহমান আরও বলেন, দেশের যেকোনো বড় ধরনের উন্নয়ন কাজে প্রথমে যারা সম্পদ, অর্থ ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন, তাঁরা স্মরণীয় হয়ে থাকেন। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এটি উদাহরণ হয়ে থাকে। চাঁদপুর নামে জনপদ কেন পরিচিত। তা হচ্ছে চাঁদপুরের নদী ও ইলিশ। চাঁদপুরের নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আশা করছি আপনার সবাই নিজস্ব জায়গা থেকে সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করবেন।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক মো. আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওসমান গনি পাটোয়ারী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহণ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, কাউন্সিলর মো. সফিকুল ইসলামসহ সুধীজন।
বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক নৌপরিবহণ প্রকল্প-১’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে চাঁদপুরে আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণকাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। সেই লক্ষে নির্মাণকাজটি শুরু করার আগে ৭৪ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে এই অর্থ দেওয়া হয়।
নৌবন্দর নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক আইয়ুব আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চেকপ্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান স্থান ত্যাগ করতে হবে।