প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে উপকৃত চরাঞ্চলের ৫৫ হাজার দরিদ্র পরিবার

Looks like you've blocked notifications!
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আজ রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় বক্তব্য দেন। ছবি : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

উপকূলীয় এলাকার চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয় ‘প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’। চরাঞ্চলের বসবাসকারী দরিদ্র মানুষের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে নেওয়া হয় এই প্রকল্প। এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে চরাঞ্চলের ৫৫ হাজার দরিদ্র পরিবার। খোদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আজ রোববার (১৮ জুন) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ছিল, উপকূলীয় চরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। এ প্রকল্প ভালোভাবে সফলতা দেখিয়েছে। নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করা এ প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য ছিল। প্রকল্পটি সফল নারী উদ্যোক্তা তৈরি করেছে। অন্যদিকে মুরগি, হাঁস ও ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্প ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সিংহভাগ সফল হয়েছে। প্রকল্প চলাকালীন প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তা তৈরির সূচনা হয়েছে, যারা প্রকল্প শেষেও প্রাণিসম্পদ খাতে ভূমিকা রাখতে পারবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় আট জেলা কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের ২০ উপজেলার ১০৯ ইউনিয়নে এ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। জীবনমান নিম্ন, দরিদ্র ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এমন মানুষগুলোকে সামনে নিয়ে আসা সরকারের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, কাউকে পেছনে ফেলে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই আলোকে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মত ছোট ছোট প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার দরিদ্র মানুষের উপকার করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছে।’

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় এর কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। যাদের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তাদের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে, নিজের উন্নয়নকে নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। কাউকে অহেতুক হয়রানি করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল, মো. তোফাজ্জেল হোসেন। প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত।