চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। ছবি : এনটিভি

ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতীয় ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি করে চাঁদা  ধার্য করলে ট্রাকচালকরা তা দিতে অস্বীকার করেন।

আজ বুধবার (২১ জুন) বিকেলে ট্রাকচালকরা ট্রাক চালানো বন্ধ করে দেওয়ায়। ফলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৫০টি  ট্রাক প্রবেশ করেছিল ভোমরা স্থলবন্দরে। 

ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানান, চলতি মাসের প্রথম দিকে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। তবে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট (কার্গো) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের চাঁদাবাজি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু আজ  বুধবার সকাল  সাড়ে ১০টায় হঠাৎ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদা আদায় শুরু করলে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে ভারতীয় ট্রাকচালকরা জিরো পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক আড়াআড়ি রেখে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চাঁদা না নেওয়ার শর্তে বেলা ১টার দিকে আবারও আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে বিকেল ৪টার দিকে ট্রাকপ্রতি আবারও টাকা দাবি করলে ওপারে সংগঠিত হয়ে ট্রাক চালানো বন্ধ করে দেয় ভারতীয় ট্রাকচালকরা।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান,  পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নামে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদা আদায় শুরু করলে আমদানিকারকরা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে চাঁদা না নেওয়ার শর্তে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম আবারও শুরু হওয়ার পর বিকেল ৪টার দিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, ‘লাইনম্যানদের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি নেওয়ার। তাঁরা তা দিতে নারাজ হওয়ায় বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি। আমরা ভারতে কথা বলেছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।’