ভিসা নীতিতে বেশি চিন্তিত সরকারি কর্মচারী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির লিডারস : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শকে স্বাগত জানাবে সরকার। আজ সোমবার (৩ জুলাই) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত সরকারি কর্মচারী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির লিডাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা তো ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চাই। সুতারাং, আমরা আমাদের কথাগুলো বলব। হ্যাঁ, তারা যদি অন্য কোনোভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারে মোস্ট ওয়েলকাম। যদি, ব্রাইট কোনো আইডিয়া দেয়, উই উইল অ্যাপ্রুভ ইট। উই উইল লাইক ইট–যদি, থাকে আর কোনো, উই হ্যাভ নাথিং টু হাইড।’
‘একজন আসতাছেন জায়া, উনি ডেমোক্রেসি হিউম্যান রাউটসের। উই ওয়েলকাম দেম। তার মানে হচ্ছে, আমাদের ইজ্জত বেড়েছে। আমাদের প্রতি নজরও বেড়েছে। নজর বাড়ার কারণ, আমরা স্ট্র্যাটেজিক্যালি খুব ভালো অবস্থানে রয়েছি। আমরা ইন দ্য টিপ অব দ্য বে অব বেঙ্গল অ্যান্ড দ্য ইন্ডিয়ান ওশান অ্যান্ড ইন দ্য স্পেসিফিক রিজিয়ন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছিল বাংলাদেশ চাইনিজ ডেথ ট্রাপে পড়ে যাচ্ছে, আর বাংলাদেশ চাইনিজের দিকে ধাবিত হয়েছে। এটা শুনে অনেকের একবারে জ্বর ওঠেছে। হ্যাঁ, তারা খুব ভয় পাচ্ছে, বাংলাদেশ যদি অন্যদিকে যায় গিয়া। এ জন্য সবাই আমাদের সঙ্গে আলাপ করতাছে। আমরা তাদের স্বাগত জানায়। আমরা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে এগোচ্ছি। আমরা কারও লেজুড় না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা দুর্নীতিগ্রস্ত না, যাদের জনসমর্থন রয়েছে, এটার ওপর তারা খামখা স্যাংশন দিয়ে দিল। জ্ঞানের পরিধি বাড়লে দে উইল টেক অ্যাপ্রোপিয়েট ডিসিশন। দে উইথড্র স্যাংশন অন ইন্ডিভিজ্যুয়াল পার্সন।’
এক পর্যায়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটার জন্য চিন্তিত আপনারা কিছু সাংবাদিক। আর সব থেকে বেশি চিন্তিত সরকারি কর্মচারী, এনজিও লিডারস ও সিভিল সোসাইটির লিডারস।’