বকেয়াসহ বৃত্তির অর্থ পাচ্ছেন মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা
বকেয়াসহ বৃত্তির অর্থ পাবেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। বৃত্তির অর্থ দিতে প্রাথমিক পর্যায়ে চলছে তথ্য পূরণের কাজ। এ নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল-ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রাজস্ব খাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তির অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটি-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বকেয়াসহ বৃত্তির তথ্য আগামী ১০ জুলাই থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসপিএফএমসি কর্মসূচির এমআইসি সফটওয়্যারে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণকরে এন্ট্রি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান, দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলো।
এমআইসি সফটওয়ারে তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে :
বাংলাদেশের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে অথবা ১৮ বছরের কম শিক্ষার্থীদের পিতা/মাতার সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে।
যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব/ভুল ব্যাংক হিসাব খোলা হলে এমআইসিতে শিক্ষার্থীর এন্ট্রি করা হিসাবধারীর নামের স্থানে প্রথমে শিক্ষার্থীর নাম ও দ্বিতীয় হিসাবধারীর নাম ইংরেজিতে এন্ট্রি করতে হবে।
শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে।
বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থীর নামের বানান, এমআইসি সফটওয়্যার-এ শিক্ষার্থীর নামের বানান এবং হিসাবধারীর নামের বানান অভিন্ন হবে। বৃত্তির গেজেটে নামের বানানে হাইফেন ( - ) থাকলে এমআইসি সফটওয়্যার-এ শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেন দিতে হবে। কিন্তু হিসাবধারীর নামের স্থানে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেনের সানে একটি স্পেস দিতে হবে।
অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর ও শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
ব্যাংক হিসাবটি বর্তমানে সচল থাকতে হবে।
শুধুমাত্র সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (সরকারি/বেসরকারি স্কুল, কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল/ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সাধারণ প্রতিষ্ঠান) অধ্যয়নরত মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য বর্ণিত প্রতিষ্ঠান থেকে এমআইসি সফটওয়্যার-এ এন্ট্রি করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইসি সফটওয়্যারে যথাযথভাবে এন্ট্রি হয়েছে কি—না তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই দুইজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে।
তথ্যাদি প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
তথ্য পূরণ/সংশোধন এর জন্য লিংক DSHE Scholarship MIS URL: scholarship.dshe.gov.bd/DSHE-MIS/login