পাপিয়ার বন্দি নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

Looks like you've blocked notifications!
নানা কেলেঙ্কারিতে আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া। ফাইল ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়ার নারী বন্দি নির্যাতন ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এবং পাপিয়াকে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মেট্রন ফাতেমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেল সুপার বলেন, মেট্রন ফাতেমার বিরুদ্ধে হাজতিকে নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তাঁকে শোকজ ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ২৮ জুন দাখিল করা শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে ১ জুলাই থেকে রিজার্ভে ডিউটি দেওয়া হয়। তিনি আর কারাগারের ভেতরে কোনো কাজ করতে পারবেন না বলেও জানান জেল সুপার।

মো. ওবায়দুর রহমান আরও বলেন, তদন্ত কমিটি বন্দি নির্যাতনের ঘটনায় ফাতেমা জড়িত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নানা কেলেঙ্কারিতে আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া গ্রেপ্তারের পর থেকে রাখা হয় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে। এ সময় তিনি কারাগারের ভেতর গড়ে তোলেন অপরাধের আরেক সাম্রাজ্য। সেখানে তাঁর কর্তৃত্ব ধরে রাখতে গড়ে তোলেন অনুগত এক বাহিনী। কারাগারে অন্য নারী বন্দিদের ওপর চালান নির্যাতন, ছিনিয়ে নেন তাঁদের টাকা-পয়সা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। বাধা দিলে চালান নির্যাতন। আর এ কাজে কয়েকজন কারারক্ষী এবং নারী বন্দির বিরুদ্ধে তাঁকে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। গত ২৫ জুন কারাগারে বন্দি রুনা লায়লা (৩৮) নামে এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় তাঁর স্বজনদের অভিযোগের মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে এক রোমহর্ষক ঘটনা। ভুক্তভোগী নারী বন্দির ভাই গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিতভাবে সেই ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে প্রতিকার চান। ভুক্তভোগী নারী ঢাকার কোতোয়ালি থানায় নথি চুরির মামলায় গত ১৬ জুন থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার বন্দি ছিলেন। পরে তিনি ২৭ জুন জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টি জেনে বন্দি নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য কারা কর্তৃপক্ষ জেল সুপার ফারজানা আক্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ সময় নির্যাতনে জড়িত অন্য বন্দিদের শাস্তি দেওয়া হয়। মেট্রন ফাতেমাসহ দুজনকে শোকজ করা হয়।

এ ছাড়া গত ৩ জুলাই অভিযুক্ত শামীমা নুর পাপিয়াকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।