রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি আমদানির অনুমোদন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/07/14/pabna-enargy.jpg)
দেশের সর্ববৃহ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। একইসঙ্গে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান বুরুশকে পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে এই অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিএইআরএ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পাবনার একটি হোটেলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ অনুমোদন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এরমধ্য দিয়ে পরমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন—রাশান ফেডারেশনের রোসটেকনাজোরের ডেপুটি চেয়ারম্যান এলেক্সি ফেরাপন্তভ, রোসাটমের ডেপুটি ডিরেক্টর এ ওয়াই পেত্রোভ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অশোক কুমার পাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শওকত আকবর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিএসও) ড. সত্যজিত ঘোষ। এ সময় রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার (আইএইএ) প্রতিটি চাওয়া আমরা পূরণ করেছি। তারাও (আইএইএ) আমাদের সহযোগিতা করেছে, আমাদের ভুল ধরে আবার সংশোধন করে দিয়েছে, এজন্য আইএইএকে ধন্যবাদ জানাই। এই অর্জন দেশবাসীর। সারা বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা ও দরদের জন্যই আমরা এই সক্ষমতা অর্জন করেছি।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেন, ‘এই জ্বালানি আসায় আমাদের আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থায় (আইএইএ) নোটিফিকেশন করতে হয়। আজকের অনুমোদনের মাধ্যমেই সেই সক্ষমতা অর্জন করেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এই জ্বালানি ব্যবহার করা হবে এবং নিরাপত্তাজনিত বিষয়টি তদারকি করবে বিএইআরএ।’
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিএসও) ড. সত্যজিত ঘোষ বলেন, ‘চলতি বছরের সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে পারমাণবিক জ্বালানি আসবে। এই জ্বালানি নিয়ে আসার জন্য আমদানি, পরিবহণ ও সংরক্ষণের যে তিনটি লাইসেন্স প্রয়োজন সেগুলো বিএইআরএ দিচ্ছে।’