সাতক্ষীরায় শিক্ষকের পিটুনিতে ছাত্রের মৃত্যু, থানায় এজাহার

Looks like you've blocked notifications!
সাতক্ষীরায় রোববার ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে বিদ্যালয় ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি : এনটিভি

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নলতা হাইস্কুলে শিক্ষকের প্রহারে নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপ দাসের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছেন নিহত ছাত্রের বাবা দীনবন্ধু দাস। রোববার (১৬ জুলাই) রাত দুইটার দিকে কালিগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে তিনি এই এজাহার দায়ের করেন। 

এজাহারে উল্লেখিত শিক্ষকরা হলেন—মূল অভিযুক্ত অবকাশ কুমার খাঁ, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুহিত, সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান এজাহার দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত সবাই পুলিশের কাছে আটক রয়েছে। তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে এজাহারটি মামলায় রূপান্তরিত হতে পারে। মামলা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।

এর আগে রোববার সকালে স্কুলের ছাদে কেক কেটে জন্মদিন পালন করছিলেন নিহত রাজপ্রতাপ দাস, জুবায়ের আহমেদ, রাফি ও মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র। এসময় শিক্ষকদের অনুরোধে তা বন্ধ না করায় তাদের মারধরের শিকার হয় ওই ছাত্ররা। এরপর দুপুর আড়াইটায় অসুস্থ অবস্থায় বমি করতে করতে মারা যায় নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপ দাস (১৫)।

এ ঘটনার জের ধরে অভিযুক্ত শিক্ষক অবকাশ খাঁসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষককে স্কুলকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রজনতা। ছাত্র ও বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলভবনের আসবাবপত্র, কাচের দরজা ও সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ি থেকে নিহত রাজপ্রতাপের মরদেহ নিয়ে স্কুলভবন ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ পাহারায় চারজন শিক্ষককে কালিগঞ্জ থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়।