ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দক্ষিণ সিটির ১৪ স্থাপনাকে জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!
মশা নির্মূলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। ছবি : ডিএসসিসি

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালিত নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৪ স্থাপনাকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ, কোয়ার্টার, হাসপাতাল, থানা ও মার্কেটসহ আরও ২৮টি স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।  

আজ মঙ্গলবার (১৮ই জুলাই) এলিফ্যান্ট রোড, খিলগাঁও, ওয়ারী, মালিবাগ, লালবাগ, মানিকনগর, উত্তর মান্ডা, ডগাইর ও উত্তর কুতুবখালী এলাকায় নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩১৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেছে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১৪ বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৪ মামলায় সর্বমোট এক লাখ ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী মঞ্জরুল হক ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহনেওয়াজ এক নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি। এ ছাড়া দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মালিবাগ এলাকায় ২০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাগ এলাকায় ৬২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় চারটি বাসাবাড়িতে সামান্য পরিমাণে লার্ভা পায়। তবে, কোনো জরিমানা না করে ভবন মালিকদের সতর্ক করে দেন। 

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম এলাকায় ২৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ওয়াসার পাম্প হাউজসহ আরও একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়। দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ সাত নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগর এলাকায় ৩২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। চারটি  স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় চার মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মান্ডা এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। তবে, এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি।

আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডগাইর এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায়। পরে, এক মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ীর উত্তর কুতুবখালী এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।