কাঙাল হরিনাথের প্রেসটি খণ্ড খণ্ড আকারে যাচ্ছে জাদুঘরে

Looks like you've blocked notifications!
কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এমএন প্রেসটি কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত করে তাঁর বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : ইউএনবি

চুক্তিনামার তিন দিন পর গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এম এন প্রেসটি কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত করে তাঁর বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এগুলো জাদুঘরে নেওয়া হয়। তবে এখনো জাদুঘরে স্থাপন করা হয়নি।

মঙ্গলবার সকালে কুমারখালী পৌরসভার কুণ্ডুপাড়ায় তাঁর বাস্তুভিটা থেকে প্রেস হস্তান্তরের কাজ শুরু করেন জাতীয় জাদুঘরের কর্মকর্তারা। এ কাজে সহযোগিতা করেন কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় জাদুঘরের কিপার ও সংরক্ষণ রসায়নবিদ আকছারুজ্জামান নুরী, প্রদর্শন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ, কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অনুপ কুমার সাহা প্রমুখ।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ।

ওবায়দুল্লাহ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে সকাল থেকেই ছাপাখানাটি স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত করে সন্ধ্যায় সেগুলো জাদুঘরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে জাদুঘরে এখনও স্থাপন করা হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্য এখনই কাউকে স্থানান্তরের বিষয়টি জানানো হয়নি।

ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের নবনির্মিত বোর্ড সভাকক্ষে প্রেসটি হস্তান্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার (১৫ জুলাই) চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

২০ লাখ টাকার চেক ও দুজনের চাকরির বিনিময়ে ছাপাখানাটি হস্তান্তর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন কাঙাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী গীতা মজুমদার ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।