চট্টগ্রামে বন্যার পানি কমেছে, ভেসে উঠেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন

Looks like you've blocked notifications!
বন্যায় সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এফ রহমান সড়কের বেহাল অবস্থা। ছবি : এনটিভি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাডা ও চন্দনাশইশ উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি কমে গেছে। ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। বন্যা কবলিত এলাকায় বেশির ভাগ কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার স্রোতে নষ্ট হয়ে গেছে পাকা সড়কও।

এই তিন উপজেলার মধ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা। এই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে চরতী, আমিলাইষ, নলুয়া, কালিয়াইশ, কেওচিয়া, সোনাকানিয়া, বাজালিয়া, পুরানগড, ধর্মপুর, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, এওচিয়া, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন ও সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকার সবক’টি ওয়ার্ড বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

সড়ক ভেঙে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় থেকে বাড়ি ফেরত লোকজনকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে, টানা ৭২ ঘণ্টা পর উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে এই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়। এর আগে গত সোমবার (৭ আগস্ট) দিনগত রাতে বন্যার পানি বেড়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

গতকাল সাতকানিয়াতে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, কেওচিয়ার চেয়ারম্যান ওসমান আলী, পুরানগডে ইঞ্জিনিয়ার আমানুর রশিদ হিরু, রাউজানের ফারাজ করিম চৌধুরী, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদী, বাংলাদেশ ওয়েল ফেরার সোসাইটির পক্ষে নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল ও সাতকানিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।