পিরোজপুরের পথে সাঈদীর মরদেহ
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ ঘিরে শাহবাগে বিক্ষোভরত জামায়াত-শিবির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। ভোররাতের দিকে কঠোর অ্যাকশনে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। টানা কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। আধাঘণ্টা ধরে এ পরিস্থিতি চলতে থাকে। এক পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় জামায়াতের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়। পরে সাঈদীর মরদেহগামী গাড়ি পুলিশ পাহারায় পিরোজপুরের পথে রওনা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর রাত তিনটার দিকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশ বের করতে চাইলে জামায়াত শিবির কর্মীরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন এবং দাঁড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা জামায়াত শিবির কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে গাড়ির পাশ থেকে চলে যান। এসময় তারা ঢাকায় জানাজার দাবিতে স্লোগান দেন। ফজরের নামাজের পর অ্যাকশনে যায় পুলিশ। ভোর ৫টার কিছু পর হাসপাতালে বাইরে থেকে টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
এতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে পিছু হটে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় মাওলানা সাঈদীর মরদেহ বের করতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার এবং গ্লাস ভেঙে যায়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ সদস্যরা পাংচার হওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি নিজেরা ঠেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভেতর থেকে বাইরে নিয়ে আসেন। শাহবাগ মোড় পেরিয়ে বারডেম হাসপাতালের সামনে ঠেলে আনার পর অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে মাওলানা সাঈদীর মরদেহ তুলে দেন। পরবর্তীতে সেই অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশি নিরাপত্তায় পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বর্তমানে শাহবাগ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পিরোজপুরে পৌছার সাথে সাথেই মাওলানা সাঈদীর জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হবে বলে জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছ থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।