ডিবির দাবি, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন গ্রেপ্তার ছয়জন
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদলের সেই ছয় নেতা অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী।
আজ রোববার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খোন্দকার নুরুন্নবী এ দাবি করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ (৩০), সহ-সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাসান (৩২), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২) ও ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ বিল্লাহ (৩০)।
খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, শনিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রদলের ছয়জন নেতাকে গ্রেপ্তার করে লালবাগ ডিবি। তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র জব্দ করা হয়। অস্ত্রগুলোর মধ্যে দুটি পাবনা ও একটি টেকনাফ থেকে সংগ্রহ করেন তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সহিংসতা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।
খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথোপকথনের সূত্রে কাদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে সেই তথ্য জানা গেছে। অস্ত্র সরবরাহকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হাইকমান্ড এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হাইকমান্ডের নির্দেশে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসমূহ রাজপথে বিএনপির শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রদলের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া প্রদর্শনের মাধ্যমে জনমনে ভীতি এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার জন্যে ওই স্থানে অবস্থান করছিল। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।