শরীয়তপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
শরীয়তপুরের সখিপুরে নিহত গৃহবধূ মিতু আক্তারের স্বজনদের আহাজারি। ছবি : এনটিভি

শরীয়তপুরের সখিপুরে মিতু আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে।

গৃহবধূ মিতু আক্তারের বাবার বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামে। মরদেহ দাফনের প্রস্তুতিকালে উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে আসে তাঁর বাবার পরিবার। এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত মিতু আক্তারের পরিবার জানায়, ৯ বছর আগে সখিপুর চরকুমারিয়া ঢালি কান্দি গ্রামের আহম্মদ আলী ঢালীর ছেলে ওয়াসিমের সঙ্গে মিতুর বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মিতু-ওয়াসিমের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। ইতোমধ্যে উভয় পরিবার মিলে ৮ থেকে ১০ বার মিতু-ওয়াসিমের কলহ মীমাংসা করেছে।

নিহত মিতু আক্তারের ভাই মামুন মোল্যা জানান, মিতুর স্বামী ওয়াসিম ঢালী তেমন কাজকর্ম করেন না। বিয়ের সময় দেওয়া স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ফেলেছেন। এই বিষয়ে কথা বললে মিতুকে তিনি নির্যাতন করতেন। গতকাল রোববার রাতে ওয়াসিম মিতুকে বেধরক মারেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ ভোরে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে এক কিলোমিটার দূরে তাঁদের (মিতুদের) বাড়ি। তবুও এই বিষয়ে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি।

মামুন মোল্যা বলেন, ‘আমার ধারণা মিতুর মৃত্যুর পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ডাক্তার মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করলে তড়িঘড়ি করে মরদেহ নিয়ে তাঁরা চরকুমারিয়ায় চলে যায়। তখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি। পরে লোক মারফত সংবাদ পেয়ে আমরা বাড়ির থেকে ৩০-৪০ জন সেখানে যাই। গিয়ে দেখি মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। পরে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পঠিয়ে সখিপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরে পালং থানা পুলিশ মর্গে এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে।’

সদর হাসপাতলের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৭টায় মিতুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মিতুর মৃত্যু হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ‘মর্গে একটি মরদেহ এসেছে, এমন সংবাদ পেয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। যেহেতু সখিপুর থানার বিষয় তাই আইনগত ব্যবস্থা সখিপুর থানা গ্রহণ করবে।’