শিক্ষার্থীসহ তিনজন আইসিইউতে, চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

শাটল ট্রেনের ছাদে উঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ফেরার পথে হেলেপড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত ১৬ জনের মধ্যে চবির শিক্ষার্থীসহ তিনজন এখন আইসিইউতে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজন আছেন নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, শিক্ষার্থী আহতের জেরে গতকাল রাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। উপাচোর্যের বাসভবনসহ যানবাহন দপ্তরে বাস ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে তিনটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আইসিইউতে আছেন, চবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী অংসইনু মারমা (২১), সাধারণ যাত্রী আমজাদ হোসেন সোহাগ (১৮) ও খলিলুর রহমান (২২)।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর)  রাত ৯টার দিকে চৌধুরীহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে চবির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফতেয়াবাদ এলাকায় হেলে পড়া একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ছাদে বসা কয়েকজন আঘাত পেয়ে আহত হন। অনেকে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। এরমধ্যে ১৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর রাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে চবি ক্যাম্পাস। ভাঙচুর হয় উপাচার্যের ভবন। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। 

আজ শুক্রবার বিকেলে চবির উপাচার্য শিরীন আকতার সাংবাদিকদের জানান, শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহতের জেরে গতকাল রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ হয়। এ সময় তার বাসভবনসহ যানবাহন দপ্তরে বাস ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করে  বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে তিনটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একটি তদন্ত কমিটি গঠনও প্রক্রিয়াধীন।

উপাচার্য দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত তখন পরিকল্পিতভাবে একটি মহল তাঁকে হত্যার উদ্দেশে বাসভবনে হামলা চালায়। হামলাকারীরা পরিবহণ দপ্তরে হামলা চালিয়ে কয়েক কোটি টাকার গাড়ি ভাঙচুর করে।