মৌলভীবাজারে পাওনা টাকা নিয়ে নির্মাণ শ্রমিক ঠিকাদার খুন, গ্রেপ্তার ২

Looks like you've blocked notifications!
মৌলভীবাজারে নির্মাণ শ্রমিক ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার অপর দুই নির্মাণ শ্রমিক। ছবি : এনটিভি

মৌলভীবাজারে নির্মাণ শ্রমিক ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অপর দুই নির্মাণ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশিদ চৌধুরী আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে জানান, গত ১ বছর যাবত সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামের মাহিন আহমদের বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করতেন নিহত নির্মাণ শ্রমিক ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম ও তার সাথে আরও ৫-৬ জন শ্রমিক। বেশ কয়েকদিন যাবত নিহত সিরাজুল ইসলামের নিয়োগকৃত নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে পাওনা টাকা নিয়ে নির্মাণ শ্রমিক ঠিকাদারের সাথে অপর শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সিরাজুল ইসলামের মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড ও দা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে তারা। পরে তারা লাশ একটি কক্ষে খাটের নিচে রেখে দরজা আটকে পালিয়ে যায়। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে খবর আসে সদর মডেল থানার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইলের একটি বাড়ির কক্ষে মৃতদেহ পড়ে আছে। খবরের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার ও লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত সিরাজুল ইসলাম (২৮) রাজনগর উপজেলার মুনসুরনগর ইউনিয়নের মালিকোনা এলাকার মো. চুনু মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানের নিদের্শনায় ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেনের তত্ত্বাবধানে পুলিশ অভিযানে নামে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার মধ্যরাতে পার্শ্ববর্তী রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের শ্যামেরকোনা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। শনিবার বিকেলে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।