ডিএসসিসিতে তিন এলাকায় মেলেনি লার্ভা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নয়টি বাসাবাড়ি, সাইট অফিস ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় নয় মামলায় মোট দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে একটি সাইট থেকেই আদায় করা হয়েছে দুই লাখ টাকা। ১৬, ৫৬ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কোনো লার্ভা পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ডিএসসিসির ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল, ভূতের গলি, উত্তর মুগদা, পূর্ব রসুলপুর, কামরাঙ্গীরচর, আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড, বাংলাদেশ মাঠ, পশ্চিম জুরাইন, শ্যামপুর, মীরহাজিরবাগ রোড, যাত্রাবাড়ী, পশ্চিম নন্দীপাড়া, বড় বটতলা, গ্রীন মডেল টাউন ও প্রিভেইল স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকায, আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের গ্রিন মডেল টাউনের পুরাতন সাইটে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল ও ভুতের গলি এলাকায় ২১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ছয় নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মুগদা এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসুলপুর ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড ও বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় ৮৮টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজিরবাগ রোড ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জুরাইন ও শ্যামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। দুই আদালত এ সময় তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া ও বড় বটতলা এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
ডিএসসিসির ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের গ্রিন মডেল টাউনের পুরাতন সাইটের ইনচার্জ বদরুদ্দোজা খানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অফিসের ড্রাম, বালতি, রান্নার তৈজসপত্র ও টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তাকে এই জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৭-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ডিএসসিসির ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই সাইট ইনচার্জ বদরুদ্দোজাকে এই জরিমানা করেন।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিভেইল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ৮১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।