রাজশাহীতে বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বন্ধ ঘোষণা

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহীতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ফি বাড়ানোর দাবির বিপরীতে আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিকরা।

নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার নেতারা এ ঘোষণা দেন।

অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের দাবির বিপরীতে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিকরা বলছেন, এমন দাবি মেনে নিলে অস্ত্রোপচারের খরচ বেড়ে যাবে। যা শেষ পর্যন্ত রোগীদেরকেই বহন করতে হবে।

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (বিএসএ) রাজশাহী শাখা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পারিশ্রমিকের নতুন তালিকা পাঠালে দুই পক্ষের দর কষাকষি ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।

বিএসএ রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. খিজির হোসেন বলেন, ২০১৬ সালের পর আমাদের ফি আর বৃদ্ধি করা হয়নি। ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিক পক্ষ অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের নামে রোগীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের নামে (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) নেওয়া টাকা আমাদেরই দিতে হবে।

নতুন ফি বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে ডা. খিজির হোসেন বলেন, বর্তমানে প্রসূতিদের সিজার করতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা পান দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। আমরা সেই ফি আড়াই হাজার করার দাবি জানিয়েছি। অথচ ক্লিনিক মালিকরা বলছেন, আমরা নাকি দ্বিগুণ ফি বৃদ্ধির দাবি করছি।

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমানের দাবি, অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা যে দর নির্ধারণ করেছেন তা বাস্তবায়ন করলে চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে অনেক মানুষের, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসা খরচ সাধ্যের বাইরে চলে যাবে।

মুখলেছুর রহমান আরও বলেন, এই দাবির প্রতিবাদে আমরা বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত আমরা রোগীদের স্বার্থেই নিয়েছি।