লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি, মৌখিকে ধরা!
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পাস করলেও ভাইভা দিতে গিয়ে ধরা পড়লেন সাত চাকরিপ্রার্থী। এই ঘটনায় আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ওই সাতজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সাতজন চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে জেলা প্রশাসনের নিয়োগ কমিটি। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে আজ সকালে সিরাজগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির সদস্য সচিব শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। এরপর আদালতে নিলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সাত প্রার্থী হলেন—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ফিরোজ উদ্দিন, তাড়াশ উপজেলার বিষমডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেন, কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের রাশিদুল ইসলাম সুজন ও চরদোগাছি গ্রামের হাবিবুল্লা বেলালী, শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের মজিবর রহমান ও গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের এনামুল হক।
মামলার বাদী শিমুল আক্তার জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৪ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মোবারক হোসেনের উপস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার সময় ওই প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখায় গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তাদের বিভিন্ন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন, অন্যদের দিয়ে প্রক্সি দিয়ে পরীক্ষায় পাস করেছেন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্তদের নামে সকালে মামলা করা হয়। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’