বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী কুপিয়েছে আরেক শিক্ষার্থীকে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক ছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে কথোপকথনের জেরে শিক্ষার্থী রাফি সিকদারকে ছুরিকাঘাতে জখমের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর আমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আহত রাফি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। রাফিকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চতুর্থ তলার সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সজলও রাফির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন। ছুরিকাঘাতের শিকার আহত রাফি শিকদার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের অনার্সের শিক্ষার্থী। মুশফিকুর রহমান সজল ববির ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের অনার্সের শিক্ষার্থী।
আহত রাফির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে তার ফেসবুকের কথোপকথনের (চ্যাটিং) স্ক্রিনশট দেখিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ টাকা দাবি করে আসছিল ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের অনার্সের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান সজল। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোমবার রাতে রাফিকে দেখা করতে বলেন সজল।
রাফি আরও বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে আমার মাথায় এবং হাতে উপর্যুপরি আঘাত করে সজল। পরে আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন সজলকে ধাওয়া করে। এরপর স্থানীয় জনতা সজলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম সোমবার রাতে বলেন, দুই জনের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ঘটনা সংগঠিত হওয়ায় বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন রাত সোয়া ১২টার দিকে জানান, রাফি ও সজল একে অপরের বিরুদ্ধে জখম ও মারধরের অভিযোগ এনেছেন। সজল পুলিশকে সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছায় থানায় এসেছিল। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগও দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ববি ছাত্র অভিযুক্ত সজলের বক্তব্য জানতে মোবাইলফোনে কল দিলে তিনি তা ধরেননি।