স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজকের যুব সমাজই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। স্মার্ট নাগরিক ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা যাবে না। নাগরিকদের স্মার্ট হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের স্মার্ট হতে হবে। 

আজ রোববার (১ অক্টোবর) ঢাকায় আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এআইইউবি) ড. আনোয়ার আবেদিন লেকচার সিরিজে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা : বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ’ শীর্ষক আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জেড. লামাগনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ফেরহাত আনোয়ার, জয়তুন বিজনেস সলিউশনের চেয়ারম্যান মো. আরফান আলী, বাংলালিংকের করপোরেট এবং রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের চিফ তাইমুর রহমান, এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। 

মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আর আমাদের স্বপ্ন নয়, তা বাস্তবায়িত হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন নাগরিক সেবা এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে চলা ভবিষ্যতে সহজ হবে।’ আজকের এই শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হবে বলে এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সারাদেশে গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, স্বাস্থ্যকর পানীয় জল সরবরাহ করে থাকে। এই খাতে বিগত পনেরো বছরের উন্নয়নের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা, ২১০০ সালের মধ্যে ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। সেজন্য জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যায় আমাদেরকে পারদর্শী হতে হবে। কারণ এ দেশটা আমাদের সবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন তখনই সত্যি হবে যখন আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’